Seo Friendly Article in Bangla -বাংলায় কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন

Seo Friendly Article in Bangla: আজকের টপিক – SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন! আপনি যদি ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে ভাল কিছু করতে চান, তাহলে আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরূত্বপূর্ণ।

আমরা যদি আমাদের তৈরিকৃত ওয়েবসাইটের সব আর্টিকেলগুলোকে SEO ফ্রেন্ডলী করে লিখতে পারি, তাহলে গুগল সহ অন্যান্য সার্স ইঞ্জিন গুলোতে খুব ভাল রেংকিং গেইন করা সম্ভব। একটি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রেংকিং এর ক্ষেত্রে ৬০-৭০% কাজ সহজ করে দেয়। আর এর বিপরীত যদি হয়, তাহলে বুঝতেই পারছেন যে রেংকিং এ অনেক সমস্যা হয় এমনি সাইট ব্যান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। 

SEO ফ্রেন্ডলীর বিপরীত আর্টিকেল বলতে আমি সেই সব আর্টিকেলকে বুঝিয়েছি যেগুলা অনেকটা কপিরাইট, অন্যজনের লিখা এডিট করে চালিয়ে দেওয়া। আপনি যদি 100% SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল স্টাইলে নাও লিখা হতে পারে, বাট আর্টিকেল যদি ইউনিক হয়, তাহলে দেখা যায় রেংকিং পরে হলেও আস্তে আস্তে হয়ে যায়। আর ইউনিক আর্টিকেল সাধারণত ৪০-৫০% অটো এসইও ফ্রেন্ডলি হয়ে যায়।

১)SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম-মেইন কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করা -Seo Friendly Article in Bangla

প্রথমে আপনি যে টপিকে আর্টিকেল লিখবেন, সেই টপিকে একটি ভাল প্রোফিটেবল মেইন কি-ওয়ার্ড বেছে নেওয়া। মেইন কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে যে দুইটি বিষয় বেশি খেয়াল করবেন –

  • সার্চ ভলিওম এবং 
  • কিওয়ার্ড কম্পিটিশন

Best free tools for SEO 

অনেক ক্ষেত্রে সার্চ ভলিওম আপনার মত মত নাও হতে পারে বাট ভবিষ্যৎ এ সার্চ ভলিওম ভাল হতে পারে এমন কি-ওয়ার্ড হয়ে থাকলে সেটি নিয়ে কাজ করলে রেংকিং এ অনেক তাড়াতাড়ি প্রথমে চলে আসবেন এবং যখন কি-ওয়ার্ড এর সার্চ ভলিওম গুগলের রোবটের কাছে জমা হবে তখন আপনাকে রেংকিং থেকে সরানো অন্যদের জন্য কঠিন হবে। তাই এই টাইপের কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে খারাপ হবেনা। যেকোনো কি ওয়ার্ড এর ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড বাছাই করে লিখতে পারলে সব থেকে বেশি ভালো হয়।

২)SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়ত যে কাজগুলো করবেন

  • আর্টিকেলের যে টাইটেল নির্বাচন করবেন, সেই টাইটেলের ভিতর মেইন কি-ওয়ার্ড টি রাখবেন এবং টাইটেল টিকে অবশ্যই Eye Catchy করে তৈরি করে নিবেন, যেন যে কেউ আপনার টাইটেল দেখে ক্লিক করতে ইচ্ছে হয়, ব্যাপার টা এমন।
  • Permalink এর ভিতর মেইন কি-ওয়ার্ড রাখার চেষ্টা অবশ্যই করবেন এবং পারমালিংকটি যতটুক সম্ভব ছোট রাখবেন।
  • মেটা ট্যাগ এবং মেটা ডেসক্রিপশনে কি-ওয়ার্ডটি টেকনিক্যালি রাখার চেষ্টা করবেন। মেটা ট্যাগ এখন আর আগের মত কাজ করেনা, তাই মেটা ডেসক্রিপশনে অবশ্যই মেইন কিওয়ার্ড টি একবার হলেও রাখবেন।

বিঃদ্রঃ যেকোনো আর্টিকেলে মেইন কি-ওয়ার্ড একটির বেশি নিয়ে কাজ করতে যাবেন না, এতে নেগেটিব ইফেক্ট পরতে পারে।

 

৩)Image ব্যবহারে SEO নিয়ম 

  • কপিরাইট ইমেজ থেকে ১০০% বিরত থাকাটাই ভালো। 
  • ইমেজ টাইটেল, Altertag, ইমেজ ডেসক্রিপশনে মেইন কি-ওয়ার্ড টি রাখার চেষ্টা করুন।
  • Altertag এ মেইন কি-ওয়ার্ড সরাসরি রাখুন।
  • ইমেজ টাইটেল এ সরাসরি মেইন কি-ওয়ার্ড দিবেন না, আগে পরে কিছু এড করে দিন।
  • ইমেক ডেসক্রিপশনে খুব বেশি বড় দিবেন না, ৮-১৫ ওয়ার্ড এর মধ্যেই শেষ করবেন।
  • ডেসক্রিপশনেও সরাসরি মেইন কি-ওয়ার্ডটি বসাবেন না, আগে পরে কিছু এড করে দিবেন।

বিঃদ্রঃ Image Title এবং Image Description এ সরাসরি মেইন কি-ওয়ার্ড দিলে সেটা SEO ফ্রেন্ডলি হবেনা। তাই আবারো বলছি, মেইন কি-ওয়ার্ড এর আগে পরে কিছু এড করে নিবেন। আর উপরের পয়েন্ট গুলো শুধু মাত্র Feature Image এর ক্ষেত্রে বলেছি। ফিচার ইমেজ ব্যাতীত অন্য যে ক্যাটাগরি ইমেজে আমরা বিভিন্ন আর্টিকেলে ব্যাবহার করে থাকি, সেই ক্যাটাগরি ইমেজে সরাসরি মেইন মেইন কিওয়ার্ড না রাখাই ভালো, চেষ্টা করবেন আগে পরে কিছু এড করে নেওয়া।

৪)বডি সেকশনে মেইন কি- ওয়ার্ড ব্যবহারের জন্য দূরত্ব বজায় রাখুন 

আপনি যদি আর্টিকেলের প্রথম প্যারাতে কি-ওয়ার্ডটি রাখেন, তাহলে প্যারার শেষে কি-ওয়ার্ডের সিনোনিমাস রাখার চেষ্টা করবেন। আবার অন্য কোন প্যারার প্রথমে যদি কি-ওয়ার্ডটি রাখেন, তাহলে সেই প্যারার শেষে কি-ওয়ার্ট একটি পার্ট রাখার চেষ্টা করবেন। কি-ওয়ার্ডের রিলেটিব শব্দও ইউজ করতে পারেন এই ক্ষেত্রে।

আপনার বডি সেকশনে যদি ১০-১২ প্যারা হয়ে থাকে তাহলে প্রথম কয়েক প্যারায় কি-ওয়ার্ড টি নিয়ম মাপিক রাখার চেষ্টা করবেন। আবার শেষের প্যারার দিকে কি-ওয়ার্ডটি সেইম সিস্টেমে রাখলে ভালো হয়।

৫)Focus keyword 

কোন টপিকের ওপর আর্টিকেল লিখবেন, তা ভাবা শেষ হলে মনযোগ দিন Focus keyword এর ওপর। Focus keyword হচ্ছে আপনি যে টপিকে আর্টিকেল লিখতে যাচ্ছেন, তার মধ্যে থেকে এমন একটি ছোট বাক্য, যা লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে। মূলত Focus keyword এর ওপরই একটি আর্টিকেল গড়ে ওঠে।

 

যেমন ধরুন, আমরা আজকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়মের ওপর আলোকপাত করেছি। তাই আজকে আমাদের Focus keyword হচ্ছে “কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়”। কোটেশন মার্কের মধ‌্যে দেওয়া কিওয়ার্ডটি গুগলে সার্চের মাধ্যমে অনেক মানুষ এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে চাইবে। তাই আমরা ইউজারদের সার্চ করা সম্ভাব্য কিওয়ার্ডটিকে Focus keyword হিসেবে বেছে নিয়েছি।

Focus keyword এর যথাযথ ব্যবহার

একটি আর্টিকেলকে দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষে নিয়ে আসতে Focus keyword এর গুরুত্ব অনেক। গুগলসহ শীর্ষস্থানীয় সকল সার্চ ইঞ্জিন ফোকাস কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে আর্টিকেলকে উপরে নিয়ে আসে।

আপনার আর্টিকেলের Focus keyword কি তা খুঁজে বের করে সেটিকে আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য (Length) অনুযায়ি Focus keyword বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা হয়। যেমন-

  • আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য ১০০০ ওয়ার্ডের হলে;
  • মূল টাইটেলে ১ বার
  • প্রথম ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে ২ বার
  • সাব-হেডিং (h2, h3, h4) এ অন্তত ১ বার
  • মূল আলোচনার যেকােন স্থানে ১ বার
  • শেষ ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে ১ বার

Focus keyword টি আপনি যখন উপরের নির্দেশনা অনুযায়ি আপনার আর্টিকেলের বিভিন্ন স্থানে ব‌্যবহার করবেন, তখন গুগল আপনার লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুঝতে পারবে এবং ইউজার সার্চ করা মাত্রই সার্চ লিস্টে আপনার লেখা চলে আসবে।

সাধারণত একটি ৬০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলে সর্বোচ্চ ৩ বার, ১০০০ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৫ বার এবং ২০০০ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৮ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব‌্যবহার করা উত্তম। আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড অতিমাত্রায় ব্যবহার করলে এটি Over optimized হয়ে যাবে। যা একটি মানসম্মত আর্টিকেলের বৈশিষ্ট্য নয়।

৬)সাব- হেডিং ব্যবহার করুন

আর্টিকেলের প্রতিটি আলাদা আলাদা অংশ সাব-হেডিং (h2, h3, h4) ট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে তুলে ধরুন। যেমন আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে ১, ২, ৩ সিরিয়াল দিয়ে মোট ৭টি এবং অতিরিক্ত আরো ২টি সাব-হেডিং ব্যবহার করেছি। যার মধ্যে প্রথম হেডিংটিতে আমরা Focus keyword ব্যবহার করেছি।

৭)Internal Link ব্যবহার করুন

আপনার আর্টিকেলে কমপক্ষে হলেও একটি Internal link ব্যবহার করা জরুরি। Internal link বলতে নিজের ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ অন্য কোন পেজের লিংক যুক্ত করাকে বোঝায়। আপনি যখন কোন আর্টিকেল লিখবেন, তখন উক্ত আর্টিকেলের সাথে সম্পর্কিত অন্য কোন লেখা যদি আপনার ওয়েবসাইটে আগেই থাকে, তাহলে সেটিকে লিংকিং করে দিন।

৮)External Link ব্যবহার করুন

External link কে অনেক সময় Outbound link ও বলা হয়। এটি Internal link এর সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ External link ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে বাইরে অন্য কোন ওয়েবপেজের সাথে আর্টিকেলকে লিংকড করা হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা 

  • SEO Optimized আর্টিকেল ১০০০-১৫০০ শব্দের হলে ভাল হয়।
  • গ্রামারটিকেল ভুল করবেননা, প্রয়োজনে Grammarly Add-ons আপয়ার ব্রাউজারে ইনস্টল করে নিবেন।
  • রি-রাইটার করে কোন আর্টিকেল সাইটে পাবলিশ করবেন না। ১০০% ইউনিক না হলে এসইও ফ্রন্ডলি কখনোই হবেনা।

 

যখন প্রথম SEO Friendly Article লিখতে বসবেন, তখন অনেক সময় চিন্তা করেই লিখতে হবে। কয়েকটা আর্টিকেল এভাবে সময় নিয়ে চিন্তা করে লিখে যেতে পারলে দেখবেন এর পর থেকে এসইও অফটিমাইজ আর্টিকেল লিখতে বসলে অটোমেটিক সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

 

Seo Friendly Article in Bangla – banglay kivabe article likhben – article likhte hole ki ki janbo- Seo Friendly Article in Bangla- Bangla content writing – content writing in bangla -Seo Friendly Article in Bangla -seo friendly content writing in bangla -Seo Friendly Article in Bangla

আরও পড়ুনঃ
সাইবার সিকিউরিটি কি এবং কেন 
ব্লক চেইন কি এবং কেন 

Share this post

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Telegram
Tumblr

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

Popular posts